আওয়ামী লীগই জনগণের কথা চিন্তা করে : শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণের কথা চিন্তা করে নি, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগই জনগণের কথা চিন্তা করে। শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের কী অবস্থা ছিলো? রোগে চিকিৎসা নেই, ঘরে খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই। এই দেশ তো আমার বাবা চায় নি। কিন্তু ২১ বছর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা জনগণের কথা চিন্তা না করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। জনগণের সেবক হতে এসেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, পলাশীর প্রান্তরে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো, আওয়ামী লীগ সেই সূর্য উদিত করেছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করে দিয়েছে, স্বাধীন দেশ দিয়েছে।
‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিলো’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার মতো বাপের মেয়ে তিনি নন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ যাঁরা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় দেশে প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে-মেয়েকে রেখে আমি দেশে ফিরে আসি এ দেশের মানুষের জন্য। যখন আমি এয়ারপোর্টে নেমে আসি হাজার হাজার মানুষ। একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন করে যে সম্মান পেয়েছিলো, বাঙালির সেই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া। শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাঁদের উন্নত জীবন দেওয়া, যা আমার বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেজন্য বারবার কারাবরণ করেছেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। সেই প্রত্যয় নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।’
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য বেগম আক্তার জাহান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।