আইনমন্ত্রী : সংলাপ সফল না ব্যর্থ হবে রাষ্ট্রপতির মতামত পেলেই জানা যাবে।

আইনমন্ত্রী : সংলাপ সফল না ব্যর্থ হবে রাষ্ট্রপতির মতামত পেলেই জানা যাবে।
ডন প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিকে সংলাপে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, বিএনপির উচিত নিজেদের যা কিছু বলার সেগুলো সংলাপে অংশ নিয়ে বলা। তাহলে তাদের যেসব প্রশ্ন আছে সেগুলোর উত্তর হয়তো পাবে তারা। যা তাদের জন্য ভালো হবে। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির আসা-না আসা তাদের বিষয়। সংলাপ সফল হবে নাকি ব্যর্থ, সেটা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির মতামত পেলে তখনই জানা যাবে। এখন যারা এটা বলছে সেটা তাদের মনগড়া কথা বলছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, কাকে বিদেশ পাঠানো হবে, কাকে পাঠানো হবে না সেটা সরকারের জন্য বড় বিষয় নয়। একটি উন্নত দেশ গঠনে সরকার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, এখন জনগণকে সেবা দেওয়াই বড় বিষয়। জনবান্ধব সরকারের জনসেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই বর্তমান সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে না বলে দেওয়া হয়েছে আইন মন্ত্রণালয় থেকে। কারণ এর আইনি কোনও সুযোগ নাই। এখন বাকিটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে। আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার মতো সময় এখন আর নেই। তবে এ আইন নিশ্চয়ই হবে। এমন একটা আইন হতে হবে যেটা সার্বজনীন হয়। তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের সেবা করা। এটাই এত বছরে করে আসছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলে যারা জনগণের সেবা করেছে, তাদেরই আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে জনগণ। যারা নিজেদের সেবা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তাদের জনগণ নির্বাচিত করবে না। আমার মনে হয় না সেখানে জনগণ ভুল করবে। আনিসুল হক আরও বলেন, আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জগুলো আগেই সেট করে ফেলেছিলাম। চ্যালেঞ্জ ডেলিভারির সময় হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু প্রায় সম্পন্ন। যে সব মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছিল, সবগুলো ডিসেম্বর বা জুনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। মেগা চ্যালেঞ্জগুলো তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডেলিভারি করার জন্য প্রস্তুত। সত্যিকারে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হবো। সেই উন্নত দেশ করার জন্য যা যা করার সেগুলো আমরা করতে প্রস্তুত হবো। মামলার জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা জট বেড়ে গেছে। করোনার সময় ভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে দুই লাখ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সেটা না হলে জট আরও বেড়ে যেতো।