অগ্রণীর সাবেক এমডি শামস্‌-উলের অর্থ পাচার ও জামায়াতপ্রীতি নিয়ে আলোচনা

অগ্রণীর সাবেক এমডি শামস্‌-উলের অর্থ পাচার ও জামায়াতপ্রীতি নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ম্যাগপাই নিটওয়্যারের এমডির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক খাতের- অগ্রণী ব্যাংকের সদ্য সাবেক হওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম কানাডায় টাকা পাচার করে বেগম পাড়ায় বাড়ি কিনেছেন- এমন অভিযোগের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। কিন্তু তিনি এমন অভিযোগের কোনও ব্যাখ্যাই দেন নি আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম বিদেশ থেকে সফটওয়্যার কেনার আড়ালেও অর্থ পাচার করেছেন- এমন অভিযোগও জমা পড়েছে দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন)। সার্বিকভাবে বিভিন্ন উপায়ে তিনি নামে-বেনামে যেসব অর্থ পাচার করেছেন, সেসব অভিযোগ ইতোমধ্যে আমলে নিয়েছে সংস্থাটি। আর বর্তমানে তা তদন্ত করছে দুদক। রাষ্ট্রের অর্থ এভাবে পাচার করে যে অপরাধ করেছেন শামস্‌-উল, সে কথা যখন বলাই বাহুল্য; ঠিক তখন একটি বিষয় অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, আর সেটি হলো- মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলামের জামায়াতপ্রীতি। এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি শামস্‌-উল তাঁর জালিয়াতি ‘হালাল’ করতে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের স্বজনদেরও নানান ধরনের সুবিধা প্রদান করেছেন। যা খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় ঋণ জালিয়াতি, ঘুষ এবং অন্যভাবে অগ্রণীর সাবেক এমডি শামস্‌-উলের ‘উপার্জিত’ অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়টি তদন্ত করছে দুদক।

অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলামের মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়ে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

জানতে চাইলে দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বাঙলার কাগজকে বলেন, যে কোনও ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখি। আর সেটি সত্য বলে প্রতীয়মান হলে আমরা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিই। 

অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উলের দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, তাঁর বেশকিছু অভিযোগ আমরা অনুসন্ধান করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে একজন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা ঘটে এবং সেখানে হয়তো তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশে অনেক দুর্নীতিবাজ আছেন, যাঁদেরকে ডাকাও হয় না। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, তবেই দুর্নীতি কমবে। আর ব্যাংকিং খাতের অবস্থা হলো, যেভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, তাতে ঋণ দেওয়ার সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় নি, এটিই মূল কথা। তাহলে সেখানে অনিয়ম-জালিয়াতি হয়েছে। আর এসব জালিয়াতি যাঁরা করেন, তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনার সময় এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক খাতের (সিএসআর) টাকা এক রকম হরিলুট হয়েছে মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলামের আমলে। এক্ষেত্রে তিনি তাঁর এলাকার লোকজনকে ব্যাপক হারে অর্থ প্রদান করেছেন। যাঁদের মধ্যে জামায়াতের লোকজনই বেশি। আবার ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও জামায়াতের বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে তিনি অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছেন। অথচ তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংসদ এবং মন্ত্রীদের মাধ্যমে সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে গেলেই বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন। এমনকি ডিজিএফআইয়ের পরিচয় প্রদানকারীর মাধ্যমেও তিনি সাংবাদিকদেরও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। আর এর সবগুলোই করেছেন, তিনি তাঁর জালিয়াতি ধামাচাপা দিতে এবং তাঁর জালিয়াতি যাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়, সেজন্য।

নিজের জালিয়াতি ‘হালাল’ করতে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়তি সুবিধা প্রদান : বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে অগ্রণী ব্যাংকের অলস তারল্য ছিলো ৩০ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। এ সময় ব্যাংকের আমানত উদ্বৃত্ত ছিলো প্রায় ৪৫ শতাংশ। এরপরও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ করেছে এবং এ খাতে মাসে তিন কোটি টাকা খরচ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং সেবাবঞ্চিত এলাকায় সেবা পৌঁছে দেওয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার লক্ষ্য। তবে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়েছে- ঢাকার গুলশান, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়। এসব এলাকায় ১৫টি এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ১৫ এজেন্টের মধ্যে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আত্মীয়দের আছে ছয়টি, যার মধ্যে এমডির সহকারী একান্ত সচিবের স্ত্রী ও বোন, বোর্ড ডিভিশনের সচিবের স্ত্রী, বোর্ড ডিভিশনের কর্মকর্তার বোনও ছিলেন। এই ছয় এজেন্টকে কয়েক বছরে প্রায় ৬ কোটি ২২ লাখ টাকা কমিশন দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।

সূত্র আরও জানায়, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৪৩তম সভায় ব্যাংকের জন্য ভাড়া করা ভবনটি ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগকে বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাস্টার এজেন্ট দুয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এমনকি এই জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি দুয়ার সার্ভিসেস ও অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তাতেও উল্লেখ নেই। এরপরও দুয়ার সার্ভিসেসের ব্যবহৃত জায়গার ভাড়া ব্যাংক পরিশোধ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এটা ব্যাংকের অর্থ তছরুপের শামিল। এজন্য প্রতি মাসে ২ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্তই ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন সাবেক এমডি। এক্ষেত্রে ওই অর্থের পুরোটাই জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট অগ্রণী ব্যাংকে এমডি হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম। পরে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট তাঁকে অগ্রণী ব্যাংকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তিনি ব্যাংকটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ‘বিক্রির’ মাধ্যমে ব্যাপক জালিয়াতি করে গেছেন। যেখানে তিনি ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ করলেও বঙ্গবন্ধুর নামে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েও, এর একটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করেন নি তিনি। এক্ষেত্রে তিনি লেফাফাদুুরস্তির আশ্রয় নিয়েছেন বলেই মনে করছেন অগ্রণী ব্যাংকের দুইজন কর্মকর্তা। 

তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙলার কাগজকে বলেছেন, শামস্‌-উল ইসলাম মূলত জামায়াতের লোক। তিনি অগ্রণী ব্যাংকে নিয়োগ পাবার আগে থেকেই অর্থাৎ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগের লেবাস ধারণ করেন। আর তাঁর সাবেক কর্মস্থলে তিনি আওয়ামী লীগার হিসেবে বেশকিছু কাজ করেন। তখন সরকার তাঁকে অগ্রণী ব্যাংকে নিয়োগ প্রদান করে। আর অগ্রণী ব্যাংকে নিয়োগ পাবার পর তাঁর এলাকা- সিলেটের মানুষকে তিনি অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। যেখানে জামায়াতের লোকজনই বেশি ছিলো।

শামস্‌-উলের সিঙ্গাপুরে পদায়নে অনিয়ম : ২০১৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩২২তম সভায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অবস্থিত ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদায়নের নীতিমালা অনুমোদন হয়। অথচ ওই নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মাধ্যমে ব্যাংকটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শাহ সুজা মো. আবু শরীফকে অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউস প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের সিইও হিসেবে নিয়োগ দেন মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম। এরপরও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ছিলো, এই পদে নিয়োগের পূর্বে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা, কম্পিউটার টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষা নিতে হবে। তবে শাহ সুজা মো. আবু শরীফকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষাই নেয় নি ব্যাংক। অথচ এই নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩২ নম্বর পেয়েছেন মর্মে বক্তব্যসহ শামস্‌-উল পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একাধিকবার বাংলাদেশ ব্যাংককে মিথ্যা তথ্য দেন। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম কর্তৃক পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করা হয়, যা ব্যাংকটির সুশাসনের পরিপন্থী।

নিজের পুনর্নিয়োগে লবিং করতে গিয়ে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা : সূত্র আরও জানায়, অগ্রণী ব্যাংকে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ পেতে বেশ বড়সড় লবিং করেছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম। এক্ষেত্রে কিছু প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠীও তাঁর দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ দাবি করে। অথচ ২০১৯ সালে যখন তাঁকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়, এর আগে থেকেই ব্যাংকটিতে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে জটের সৃষ্টি হয়। তখন শামস্‌-উল ইসলাম পুনরায় নিয়োগ পেলে এ জটের সমাধান করবেন মর্মে কর্মকর্তাদের আশ্বাস দেন। অথচ তিনি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করার দিন পর্যন্ত এর কোনও সুরাহাই করেন নি। এ কারণে তিনি যেদিন অবসরে যাবেন, সেদিন তাঁকে কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অগ্রণী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বাঙলার কাগজকে বলেন, ‘সাবেক এমডি শামস্‌-উল পদোন্নতির জটিলতা তৈরি করে। এখানে পদোন্নতি জটিলতায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে একই পদে আটকে আছে কর্মকর্তারা। শামস্‌-উলের শেষ কর্ম দিবসে সুপারনিউমারারি পদোন্নতির দাবিতে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে কর্মকর্তারা। আমাদের চেয়ারম্যান স্যার কর্মকর্তাদের সুপারনিউমারারি পদোন্নতি বাস্তবায়ন করবেন, না হয় তিনি তাঁর পদ থেকে সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তখন ঘটনা সামাল দেন।’ 

মোহাম্মদ শামস্‌-উলের আরও অনিয়ম : বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে ব্যাংকের বিমানবন্দর বুথের সংস্কারকাজের নামে ৫১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪২ টাকার বিল অনুমোদন করেন। এই সংস্কারকাজের সপক্ষে ব্যাংক প্রমাণ দিতে পারে নি। এ ছাড়া বিমানবন্দর বুথের ভল্টে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭৫ টাকার তহবিলঘাটতিও পাওয়া যায়। ভল্টে টাকার ঘাটতির মতো সংবেদনশীল বিষয়েও সাবেক এমডির ভূমিকা ব্যাংকের স্বার্থপরিপন্থী বলেই প্রতীয়মান হয়।

এ ছাড়া বিমানবন্দর বুথের বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়ের এনডোর্সমেন্ট মাশুলপ্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ টাকার পরিবর্তে ১৩০ টাকা আদায় করা হয়। আর এই অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণপ্রক্রিয়ার বৈধতা দিতে ব্যাংকটির সাবেক এমডি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য দেন।

দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙলার কাগজকে বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম বড় গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার বিপরীতে বড় অংকের কমিশন গ্রহণসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন মর্মে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন কেনাকাটা (বড় বড় ক্রয়) থেকে শুরু করে নানা প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ তিনি নামে-বেনামে দেশে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি বিদেশে পাচার করেছেন। এর একটি অংশ কানাডাসহ পৃথিবীর বেশকিছু দেশে পাচার করেছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। আমরা এসব অভিযোগের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।

সূত্র বলছে, মোহাম্মদ শামস্‌-উল তাঁর জালিয়াতির অর্থের একটি বড় অংশ বেনামে এবং বিদেশে ও আত্মীয়-স্বজনের হিসাবেই রেখেছেন। যেগুলোর বিনিয়োগও করা হয়েছে।