পুলিশ সপ্তাহ শুরু রবিবার। ৩৫ জন র‌্যাবের সদস্যসহ বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন ২৩০ জন।

পুলিশ সপ্তাহ শুরু রবিবার। ৩৫ জন র‌্যাবের সদস্যসহ বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন ২৩০ জন।
ডন প্রতিবেদন : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিন্ন আঙ্গিকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানে শুরু হবে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েই এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নিয়ম করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডেরমধ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠান উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনার কারণে এবার তা হচ্ছে না। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তা ছাড়া প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীরসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের দরবার হলেও এবার তা হচ্ছে না। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দাবি-দাওয়া জানানো হবে। পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের ১১টি ইউনিট প্যারেডের মধ্যে ৯টি ইউনিট অংশ নেবে। প্যারেডে অংশ নিতে ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশের কোনও সদস্যকে আনা হয় নি। পাঁচ দিনব্যাপী এবারের পুলিশ সপ্তাহে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২৩০ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে র‌্যাবের ৩৫ জন সদস্যও পদক পাচ্ছেন। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, পুলিশ সপ্তাহের প্রতিটি অনুষ্ঠান যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেডে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ সুপার ছালেহ উদ্দিন। করোনার কারণে ২০২১ সালে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এ বছর ২০২০ ও ২০২১ সালের পদক একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানিয়েছেন, সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীরসঙ্গে দরবারে উত্থাপিত অনেক দাবি এখনো বাস্তবায়িত হয় নি। এবারও দরবার হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। সেখানে কারো প্রশ্ন করার সুযোগ থাকছে না। তাই গত কয়েক বছরে পুলিশের বিশেষ অর্জন ছাড়াও কিছু বিশেষ দাবিদাওয়া সরাসরি উপস্থাপনের জন্য পুলিশ সপ্তাহের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আলাদা সময় চাওয়া হবে।