লোকসভা'র ফলে এনডিএ আর ইন্ডিয়া জোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ভারতের লোকসভা নির্বাচনের এখন পর্যন্ত ৫০০টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২৮টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৮৮টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৬টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৮টি, ডিএমকে ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) ৭টি, শিবসেনা (এসএইচএস) ৭টি, সিপিআই (এম) ৪টি ও আম আদমি পার্টি ৩টি আসনে জয় পেয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বিজেপি ১২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১১ আসনে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে একটি আসনে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলোতে জয় ধরলেও আসনসংখ্যা তার চেয়ে কম থাকে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিলো। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে বিজেপি জিতলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে।
এনডিএ জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্র প্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ)।
এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপরে নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।
গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিলো ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।