শ্রীকাইলে গ্যাসের কূপ খনন শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলার কাগজ; মুরাদনগর (কুমিল্লা) : জ্বালানি সঙ্কট কাটাতে সরকারের পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে নিজস্ব সম্পদ অনুসন্ধান কাজ। এরই অংশ হিসেবে শুরু হলো কুমিল্লার শ্রীকাইলে কূপ খনন। কূপটি থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে বাপেক্স। একে সঙ্কটের মধ্যে সম্ভাবনার আভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে শুরু হয় শ্রীকাইল উত্তর-১ অনুসন্ধান কূপের খনন।
প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস পেতে খনন করা হবে মাটির নিচে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিটার। বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার আশা, ৯০ দিনের মধ্যে শেষ হবে খননের কাজ। আর এখানের গ্যাস আগামী বছর জাতীয় গ্রিডে সবরবাহের ব্যাপারে আশাবাদী জ্বালানি বিভাগ।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। এটি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিটার পর্যন্ত খনন করা হবে। সেখানে যাওয়ার পথে কিছু ধাপ আছে, যেখানে গ্যাসের সম্ভাবনা আছে। সেখান থেকেও আমরা গ্যাস পেতে পারি। বর্তমানে যে কূপটি খনন করা হচ্ছে, সেখানে ৯০ দিনের মধ্যে গ্যাসের সম্ভাবনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো।’
জ্বালানি বিভাগ বলছে, সঙ্কট কাটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করা হবে, যা থেকে দিনে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব হোসেন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘৪৬টি কূপ আমরা চিহ্নিত করেছি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে কূপগুলোর খনন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। আশা করছি, সেখান থেকে দিনে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাবো।’
উল্লেখ করা যেতে পারে, শ্রীকাইল উত্তর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কাজের জন্য সরকারের বরাদ্দ ৯৯ কোটি টাকা।