ডন প্রতিবেদন : এবার ৪৫ হাজার গ্রাহকের কয়েকশ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়সহ দুটি অফিস ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে না আলেশা মার্টের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও।
দুই মাস আগে আফজাল হোসেন তপু নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলেশা মার্টে একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। আলেশা মার্ট মোটরসাইকেল দিতে না পারায় টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো। সোমবার (১৫ নভেম্বর) বনানীর প্রধান কার্যালয়ে এসে অফিস বন্ধ পান তিনি। দিনভর বসে থেকেও কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেখা পান নি।
তপুর মতো অনেকে গ্রাহকই ফিরে গেছেন এভাবে। তাঁদের দাবি, আলেশা মার্ট কয়েক দফা চেক দিলেও অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এ অবস্থায় গ্রাহকের ভিড় বাড়লে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হলেও সময় মতো দেওয়া হয় নি পণ্য। এখন টাকা ফেরত চাইলে চেক ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকও প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
এদিকে বনানীর কার্যালয়ে নোটিশ টানিয়ে গ্রাহকদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে তেজগাঁওয়ের নাসরিন টাওয়ার অফিসে। অথচ সেখানেও কেউ নেই। এখন অনেকেই মামলা করার কথা ভাবছেন।
তবে অনেক চেষ্টার পর মুঠোফোনে পাওয়া যায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদারকে। তিনি এখনও আশ্বাস দিচ্ছেন টাকা ফেরত দেওয়ার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জমকালো আয়োজনে যাত্রা শুরু করে আলেশা মার্ট। চটকদার বিজ্ঞাপন আর নানা অফারে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক আলেশা মার্টের কাছে ৪৫০ কোটি টাকা পাবে।