নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; রংপুর : আলুর দাম কম হওয়ায় সড়কে আলু ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুরের আলু চাষিরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন রংপুর বিভাগীয় আলু ব্যবসায়ী সমিতি। আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মহানগরীর সাতমাথা এলাকায় সড়কে এই অভিনব প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া রংপুরের নগরমীরগঞ্জ এলাকার আলু চাষি শহিদ মিয়া বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমি ১০ একর জমিতে আলু আবাদ করেছি। আলু বিক্রি করি নাই। স্টোরে রাখছি। এখন আলুর দাম কম। আলুর দাম না হলে লোকসান হবে। খরচ চালাবো ক্যামনে।’
নব্দিগঞ্জ এলাকার চাষি বাহার আলী বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘এখন বাজারে পাইকারিভাবে আলুর কেজি আট থেকে সাড়ে আট টাকা। খুচরা বাজারে ১৩ থেকে ১৪ টাকা। অথচ চাষে আমাদের খরচ হয়েছে ১৫ টাকা। তাহলে তো পানির দরে আলু দিতে হচ্ছে। আলু রপ্তানি না করলে আমাদের লোকসান হবে। কৃষকরা মাঠে মারা যাবে।’
কৃষক বিশ্বজিৎ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘বছরে আলুর উৎপাদন খরচ বেশি, সার কীটনাশক অনাবৃষ্টি সবমিলে লেবারের খরচটা একটু বেশি। আমরা চাচ্ছি আলুটা আমাদের দেশীয় সম্পদ; এটা যেনো নষ্ট হয়ে না যায়। এই আলু যেনো দেশের বাহিরে যায়।’
‘দেশের বাহিরে যদি যায়, তাহলে আমাদের এই সম্পদের ডিমান্ড থাকে। দেশের বাহিরে যাচ্ছে না বলে এসব পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।’
রংপুর বিভাগীয় আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, রংপুর জেলায় ৮০ লাখেরও বেশি আলুর বস্তা স্টোরে পড়ে আছে।
‘এ ছাড়াও মানুষের বাড়ি বাড়ি আলু আছে, মাছাং পদ্ধতিতে আলু রাখছেন অনেক কৃষক। এতো আলু খাবে কে? খেয়ে তো শেষ করা যাবে না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, সরকার যেনো আলু রপ্তানী করে। তা না হলে আমাদের লোকসান হবে।’
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, এ বছর রংপুরে ৫২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন। যা রেকর্ড পরিমাণ। এ অবস্থায় সরকার আলু রপ্তানিতে উদ্যোগী হতে পারে।