রমজানের শুরুতেই তিনদিনের ছুটি : ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : একদিকে পবিত্র মাহে রমজান অন্যদিকে টানা তিনদিনের ছুটি। তাই অনেকে ছুটেছেন গ্রামের দিকে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর রোববার সরকারি ছুটি। ফলে রোজার শুরুতেই দেখা দিয়েছে তিনদিনের ছুটি। আর এই ছুটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে আশপাশের জেলার অনেকেই ছুটে গেছেন বাড়িতে।
জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সঙ্গে ২৬ মার্চ রোববার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি মিলে তিনদিনের ছুটি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই শনিবারের ছুটি নিয়েছেন।
বেসরকারি একটি গাড়ি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন হাসান শরিফ। তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমরা কয়েকজন ছুটি নিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতেই তিনি বাড়ি যান।
রোজার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ আসতে একটু রাত হলেও পরিবার নিয়ে সেহরি করেছি। আল্লাহ চায় তো ইফতারও করবো। প্রথম রোজাগুলো পরিবার নিয়ে কাটাবো এটাই ভালো লাগছে।
এদিকে শুক্রবারও অনেক মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। তাঁদের বেশিরভাগই আশেপাশের জেলার বাসিন্দা। বিশেষ করে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফরিদপুরের মানুষ।
সরেজমিনে মহাখালী টার্মিনালের এনা কাউন্টারের সামনে মানুষের লাইন দেখা গেছে। এক্ষেত্রে সৌখিন, আলম, সোনার বাংলা পরিবহনগুলোতে মানুষ ভাড়া দামাদামি করে উঠছে।
আলম পরিবহনের সুপারভাইজার সুজন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, বৃহস্পতিবার অফিস শেষে ভালো ভিড় ছিলো, আজও আছে। সময় কম লাগে তাই ময়মনিংহ অঞ্চলের অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন।
গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া এলাকায় মাওয়া সড়কে চলাচলরত গাড়িতেও যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের বাসিন্দা আবুল কাশেম বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, সকাল সকাল যাত্রা করেছি। দুপুরে জুমার নামাজ এলাকার মসজিদে পড়বো। দুদিন স্ত্রী বাচ্চাদের নিয়ে রোজার ইফতার সেহরি করব। রোববার ঢাকায় ফিরবো।
এদিকে তিনদিনের ছুটি থাকলেও অনেকেই বাড়ির পথ ধরেন নি এমনও আছেন। তবে ছুটিতে বেশ খুশি।
সরকারি কর্মকর্তা ছামাদ হোসেন সচিবালয়ে চাকরি করেন। তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, আমার স্ত্রী ও বাচ্চা গ্রামে থাকে। কদিন পর ঈদের ছুটি। তাই এখন যাই নি।
রাজস্ব বিভাগে চাকরি করেন জুলহাস উদ্দিন। তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, রোজার শুরুতে ছুটিটা ভালো লাগছে। তিনটা রোজা শেষ হবে অফিসের ঝামেলা থাকবে না। এখানেই পরিবার সবাই থাকেন। আর রোজায় যাওয়া-আসা একটু কষ্টকর। ঈদের ছুটিতে একেবারে বাড়ি যাবো পরিবার নিয়ে।
সবমিলে শুক্রবার রাজধানী ঢাকাকে অনেকটাই ফাঁকাই দেখা গেলো।