ডন প্রতিবেদন : কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মকে ব্যবহার করে যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপে ভক্তদেরসঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলারমধ্যেই বুধবার (১৩ অক্টোবর) কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে যাওয়ার পর অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে ‘ওই ঘটনার জের ধরে’ চাঁদপুরের পূজা মণ্ডপে ভাঙচুর ও সংঘর্ষ হয়, সেখানে প্রাণহানিও ঘটে। মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কর্ণফুলী উপজেলা, কক্সবাজারের পেকুয়া, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জেও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনা ঘটার সঙ্গেসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যেখানে যেখানে যারাই এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটাবে সঙ্গেসঙ্গে তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে।
‘আমরা অতীতেও করেছি এবং ভবিষ্যতে আমরা করতে পারবো এবং যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। এমন শাস্তি, যেনো ভবিষ্যতে আর কেউ সাহস না পায়, সেটাই আমরা চাই।’
কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব ব্যাপকভাবে তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে তাদেরকে আমরা খুঁজে বের করবোই। এটা আমরা করতে পারবো। এখন প্রযুক্তির যুগ এটা বের করা যাবে এবং সে যেই হোক না কেনো, যে ধর্মেরই হোক না কেনো তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। আমরা তা করেছি এবং করবো।’