পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকান লুট। চিনে ফেলায় দোকানি খুন!

পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকান লুট। চিনে ফেলায় দোকানি খুন!
ডন প্রতিবেদন : মুদিদোকানি হেকমত আলীর কাছ থেকে বাকিতে পণ্য কিনলেও পাওনা পরিশোধ করছিলেন না মাসুদ মিয়া। এ কারণে হেকমত আলী সালিস বসিয়ে মাসুদকে টাকার জন্য চাপ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হেকমত আলীর দোকান লুটের পরিকল্পনা করেন মাসুদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ মার্চ রাতে দোকান লুটের সময় চিনে ফেলায় হেকমত আলীকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের মুদিদোকানি হেকমত হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তে নেমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই তথ্য জানতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে মাসুদ মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করে তারা। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি বলেন, দুর্গাপুরে হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে মুদি ও জ্বালানি তেলের দোকান আছে হেকমত আলীর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ মার্চ মধ্যরাতে মাসুদ মিয়াসহ কয়েকজন দোকানে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তাঁকে মারপিট করেন। একপর্যায়ে হেকমত আলী তাঁদের চিনে ফেলেন। এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাঁর মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেন মাসুদ। মুক্তা ধর বলেন, এরপর মাসুদের সহযোগীরা দোকান থেকে জ্বালানি তেল লুট করেন। তাঁরা দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দেন হেকমত আলী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গলায় প্লাস্টিকের রশি পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর টাকা নিয়ে পালিয়ে যান মাসুদ। ওই ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত করে সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ বলেছেন, তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে ট্রাক চালাতেন। হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন তিনি। এ জন্য তিনি হেকমত আলীর পাওনা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সবার সামনে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়ায় তিনি অপমানিত হন। এরপরই হেকমতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মুক্তা ধর।