তথ্যমন্ত্রী : মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ৩ গুণ বেড়েছে।

তথ্যমন্ত্রী : মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ৩ গুণ বেড়েছে।
ডন প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় গত ১৩ বছরে সাড়ে ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ৩ গুণ বেড়েছে। একসময় বলা হতো, শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। এখন একজন শ্রমিক যে মজুরি পান, ওই মজুরি দিয়ে তিনি ভালোভাবে থাকতে পারছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে ভারতে যাওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা ও আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে গতকাল রাতে বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ বদলে গেছে। যে মানুষটি ১২-১৩ বছর আগে বিদেশ গেছেন, তাঁরা এখন নিজের দেশ চিনতে পারেন না। পুরো পৃথিবী এটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অপরাজনীতি না হলে দেশ আরও এগিয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, নিজেদের আখের গুছিয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে বিদেশে নিয়ে গেছে। এই টাকা দিয়ে তারেক জিয়া বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা যদি অপরাজনীতি না করত, তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। ভারতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল প্রচার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে বিটিভি পুরো ভারতে দেখা যায়। ত্রিপুরায়ও বাংলাদেশের অনেকগুলো টিভি চ্যানেল দেখা যায়। সমস্যা হচ্ছে পশ্চিম বাংলায়। পশ্চিম বাংলায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা আছে। আমরা সব সময় বিষয়টি ভারত সরকারের নজরে এনেছি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিধিনিষেধ ও প্রতিবন্ধকতা নেই। যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেটা হচ্ছে কে্‌বল অপারেটরদের পক্ষ থেকে। তাঁরা অনেক বেশি ফি দাবি করেন। এত টাকা ফি দিয়ে সেখানে সম্প্রচার করা আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য কোনোভাবেই লাভজনক নয়।’ জানা গেছে, তথ্যমন্ত্রী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করবেন। সেখানে তিনি ত্রিপুরার আগরতলার দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব এবং আসামের গুয়াহাটির প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেবেন। দুই আয়োজনেই তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। চলচ্চিত্রের অনেক তারকা ইতিমধ্যেই ভারতে গেছেন। মন্ত্রী ২৭ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরবেন। এদিকে গতকাল রাতে আখাউড়া সীমান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মো. শাহীন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।