টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা।
বাসস : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ওই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এ সময় বিউগেলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার গার্ড প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পর প্রথম বারের মতো সশরীরে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মাজারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর নাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। পরে মাজার প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি । এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মাজার প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর টুঙ্গিপাড়ায় যান। কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি সারাদেশে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।