নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট ব্যবহারের জোর সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আজ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সংস্থাটি এ কথা বলেছে। খবর এএফপির।
ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব মানুষ বয়স্ক বা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে করোনার টিকা নেন নি, তাঁদের চিকিৎসায় প্যাক্সলোভিড খুব ভালো ফল দেয়।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে যেসব বিকল্প ট্যাবলেট আছে, সেগুলোর মধ্যে ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধটি বেশি কার্যকর। প্রায় ৩ হাজার ১ শ রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিচালিত দুটি ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতে প্যাক্সলোভিড নিয়ে নতুন সুপারিশটি করেছে ডব্লিউএইচও।
ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে প্যাক্সলোভিড। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের প্যাক্সলোভিড ওষুধটি দেওয়া যাবে। তবে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যাঁরা কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগী, তাঁদের এই ওষুধ না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গুরুতর করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটি কতটা কাজে দেবে, তা নিয়ে কোনও মতামত দিতে রাজি হন নি ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে। তবে এ ধরনের অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা আছে বলে উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও। তাঁরা বলছে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই শুধু এই ওষুধ দেওয়া যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে রোগীকে প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। পাঁচদিন ধরে তা খেতে হবে। প্যাক্সলোভিডের দামের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ফাইজারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।