ডন সংবাদদাতা, সিরাজগঞ্জ : ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আগামী নির্বাচনের বাংলাদেশের জনগণের আস্থা ও ভালোসাবার জায়গা’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত দু-তিনটি নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে আমাদের আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
‘গত নির্বাচনে আমরা সহজে জিতেছি। এবার অতোটা সহজ হবে না। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিপক্ষকে দুর্বল মনে করবেন না। তাঁরা সব ধরনের শক্তি নিয়ে মোকাবিলা করবে। দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে হবে।’
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানী ঢাকার বাসা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁরা আন্দোলনের নামে হাকডাক দেয়।
‘কিন্তু আগামী নির্বাচনে কে তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন’ এমন প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বিজয়ী হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের দুই নেতাই তো দণ্ডপ্রাপ্ত। নির্বাচন করা বা নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তাঁদের নেই। বিএনপি অলরেডি নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দুর্নীতির কারণে তাঁরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানকে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন দলের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে অন্যান্যেরমধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও আখতার জাহান।
সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের গণ মানুষের দল।’
‘শত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এগিয়ে গেছে।’
‘অনেকেই দল থেকে চলে গেছেন। কিন্তু তৃণমুলের কর্মীরা দলে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
এ সময় তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ বলেও মন্তব্য করেন।