ডন প্রতিবেদন : ই-কমার্স কোম্পানি ই-অরেঞ্জে টাকা খাটিয়ে বিপদে থাকা গ্রাহকদের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সহস্রাধিক নারী-পুরুষের একটি দল মিছিল নিয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মৎস্যভবনের দিকে এগিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তার সেখানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব নিয়ে নিজেদের মধ্যে দলাদলির কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তারপর আমরা লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।’
অন্তত ১২টি ই-কমার্স কোম্পানি ব্যাপক মূল্যছাড়ে পণ্যবিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে; এরমধ্যে ই-অরেঞ্জ একটি।
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ এক গ্রাহকের করা ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁদেরসঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। টাকা নেওয়া হয়েছে, অথচ তাঁদেরকে পণ্য দেওয়া হয় নি।
মৌ আক্তার নামের পান্থপথের এক বাসিন্দা জানান, সদ্য নতুন সংসারে প্রবেশ করার পর ফ্রিজ, টিভিসহ অন্যান্য গৃহস্থালির পণ্য কিনতে ই-অরেঞ্জে সাত লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। কোনও পণ্য পান নি, এখন কোম্পানি ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে এই প্রতারণার দায় দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। ই-কমার্সের নামে প্রকাশ্যে দিবালোকে এ ধরনের প্রতারণা কিভাবে চলছিলো এতোদিন?’
বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বললেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ই-অরেঞ্জর প্রচার ও বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন। মাশরাফির উপস্থিতি দেখে তাদের মনে হয়েছিলো, এখানে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি নেই।
মাশরাফি অবশ্য প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন গ্রাহকদের।
তিনি বলেছিলেন, ‘যদিও আমি মাত্র ছয় মাসের জন্য এই ই অরেঞ্জেরসঙ্গে ছিলাম। গত জুলাইয়ের পর থেকে আর ওদেরসঙ্গে নেই। তারপরেও মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ভুক্তভোগী গ্রাহকের পক্ষে আইনি প্রচেষ্টা চালাবো।’