সিরিজ জিতলেও ‘বাংলাওয়াশ’ করতে পারলেন না টাইগারেরা।

সিরিজ জিতলেও ‘বাংলাওয়াশ’ করতে পারলেন না টাইগারেরা।
ডন প্রতিবেদন : শেষ ম্যাচটাকে দুইভাবে বিবেচনা করা যায়। এক, বাংলাদেশকে কোনও ধরনের সুযোগ দেওয়া যাবে না, সেই প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নেমেছে আফগানিস্তান। দুই, বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে বুঝা যাচ্ছে, তাঁদেরমধ্যে জেতার ক্ষুধা নেই। যদি থাকতো, তাহলে সফরকারীদের কাছে এতো অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কারণ আধুনিক ক্রিকেটে ওয়ানডেতে ১৯২ রান খুব মামুলি সংগ্রহ। এই স্কোর দাঁড় করিয়ে ম্যাচ জেতার রেকর্ড অনেক কম। তবে প্রতিপক্ষ কাছাকাছি মানের হলে অন্তত লড়াই জমানো যায়। কিন্তু সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই লড়াই পর্যন্ত করতে পারলো না টাইগাররা। উল্টো, দুটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই সুযোগ দুটো কাজে লাগাতে পারলে অন্তত লড়াই জমানো যেতো। শরিফুলের বলে মুশফিকের ক্যাচ ছাড়াটা মানা যায়। কারণ, বলটি বাউন্সার ছিলো এবং মুশফিক লাফিয়ে গিয়ে তা ধরতে যায়। দুর্ভাগ্যবশত বলটি হাতে আটকায় নি। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ ছাড়াটা যেনো অসহায়ত্বেরই ইঙ্গিত দেয়। বোলার সেই একজনই শরিফুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৫৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১১০ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আফগান ওপেনার। রহমত শাহও ৪৭ রান করে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। ১৭৯ রানের সময় আউট হওয়ার আগে তাঁদের দুজনের জুটি থেকে এসেছে ১ শ রান। ক্রিজে নেমে হাশমতউল্লাহ শাহিদি বেশিক্ষণ অবশ্য টিকতে পারেন নি। ১৮৩ রানের সময় মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। আগের উইকেটটিও নেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে দলীয় ৭৯ রানের সময় ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে সাকিবের বলে আউট হন অপর ওপেনার রিয়াজ হাসান। ফলাফল : বাংলাদেশ ২ : আফগানিস্তান ১।