ডন প্রতিবেদক, উজ্জ্বল রায়, নড়াইল : নড়াইলে গ্রামবাংলার ভাঁট ফুল প্রাকৃতিকভাবে সেজেছে বর্ণিল সাজে। ভাঁট প্রায় সকলের কাছে সুপরিচিত একটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই গাছের প্রধান কাণ্ড খাড়া। সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় এটি। পাতা কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে।
জানা গেছে, সারা দেশে ভাঁট উদ্ভিদ জম্মে থাকে। বিশেষ করে নড়াইলের গ্রামঞ্চলে মেঠোপথের ধারে, জঙ্গলে, রাস্তার দুইধারে ও পতিত জমিতে এর জন্ম বেশি হয়। আর বর্তমানে ভাঁট ফুলের জন্য নড়াইলের বিভিন্ন জায়গা হয়ে উঠেছে অনন্য।
কৃষিবিদরা জানান, ভাঁট অবহেলা ও অযত্নে চাষ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। ভাঁট গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ হলেও এটি গ্রামবাংলার অতিপরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ।
কবি জীবনান্দ দাশ তাঁর কবিতায় লিখেছেন, ‘ভাঁটি আশঁ শ্যাওড়ার বন বাতাসে কী কথা কয় বুঝি নাকো/বুঝি নাকো চিল কেনো কাঁদে/পৃথিবীর কোন পথে দেখি নাই হায়/এমন বিজন’।
ভাঁটের পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। ভাঁট ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশেল আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে। ভাঁট গাছ শখের বশে বাগানে বা ফুলের টবে কেউ লাগায় না।