ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ঢাকায় দুইজন, চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবু সাঈদকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

রাজধানীতে ঢাকা কলেজের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা সিটি কলেজের সামনে থেকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে ও সন্ধ্যায় তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি কলেজের সামনে একজন পড়ে ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায় নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। এছাড়াও ঢাকা সিটি কলেজের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যাকে আনা হয়েছে, কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ঘে চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের মধ্যে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা গেছে এক যুবককে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। অপরজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহত মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফারুক (৩২) ও ওয়াসিম (২২)। ফারুক ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন।